বাংলাদেশের বাজারে পাই নেটওয়ার্ক কবে চালু হবে

২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত, পাই নেটওয়ার্ক একটি সংরক্ষিত মেইননেট পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি একটি ওপেন মেইননেটে রূপান্তরের পরিকল্পনা করছে। এই রূপান্তর ২০২৫ সালে হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যদিও সঠিক তারিখ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। ওপেন মেইননেট চালু হলে পাই কয়েন (PI) অন্যান্য ডিজিটাল সম্পদ বা ফিয়াট মুদ্রার সঙ্গে বিনিময় করা যাবে, যা এর প্রাপ্যতা এবং ব্যবহারযোগ্যতা বাড়াবে।

বর্তমানে, পাই (PI) কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত নয় এবং এর ট্রেডিং পাই নেটওয়ার্ক দ্বারা অনুমোদিত নয়। তবে, কিছু এক্সচেঞ্জ অনুমোদন ছাড়াই PI তালিকাভুক্ত করেছে এবং বিভিন্ন বাজারে এর মূল্য পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে সম্প্রতি PI-এর মূল্য ওঠানামা করেছে এবং ২৪ জানুয়ারি ২০২৫-এ এর মূল্য ছিল ৫,৬২৩.৯৫ টাকা।

বাংলাদেশের বাজারে পাই নেটওয়ার্ক কবে চালু হবে

পাই নেটওয়ার্ক স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নিকোলাস কোকালিস এবং চেংডিয়াও ফ্যান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার লক্ষ্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বিকেন্দ্রীভূত পিয়ার-টু-পিয়ার ইকোসিস্টেম তৈরি করা। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং আরও বিস্তৃত জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়া। এটি ব্যবহারকারীদের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পাই কয়েন মাইন করার সুযোগ দেয়, যার জন্য উল্লেখযোগ্য কম্পিউটিং পাওয়ার বা স্টেকিংয়ের প্রয়োজন হয় না।

বাংলাদেশের বাজারে পাই নেটওয়ার্ক কবে চালু হবে

বাংলাদেশে পাই নেটওয়ার্ক ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়গুলো এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা এবং প্রচারের জন্য গঠন করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, “পাই নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ” ফেসবুক পেজটি নেটওয়ার্কের উন্নয়ন সম্পর্কিত আপডেট এবং তথ্য শেয়ার করে।

বাংলাদেশে পাই নেটওয়ার্কের সম্পূর্ণ লঞ্চের সঠিক সময়সূচি বৈশ্বিক ওপেন মেইননেট চালুর উপর নির্ভর করছে। ওপেন মেইননেট লাইভ হলে, বাংলাদেশে পাই ব্যবহারকারীদের জন্য এটি আরও সহজলভ্য হবে, যা দেশে ট্রেডিং এবং ব্যবহারিক সুবিধার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অফিসিয়াল পাই নেটওয়ার্ক চ্যানেলের মাধ্যমে আপডেট থাকা। নেটওয়ার্কের অগ্রগতি এবং প্রাপ্যতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে এ ধরনের উৎস অত্যন্ত সহায়ক। স্থানীয় পাই নেটওয়ার্ক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া এই প্রকল্প সম্পর্কে মূল্যবান দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহায়তা প্রদান করতে পারে।

পাই নেটওয়ার্ক ওপেন মেইননেট চালুর কাছাকাছি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে, বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয় যাচাইকরণ, যেমন কেওয়াইসি (Know Your Customer) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এটি ব্যবহারকারীদের নেটওয়ার্কের আনুষ্ঠানিক লঞ্চের সময় সম্পূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম করবে। এই প্রস্তুতি পাই নেটওয়ার্কের বাংলাদেশি বাজারে সম্প্রসারণ থেকে উপকৃত হওয়ার সর্বোচ্চ সুযোগ নিশ্চিত করবে।

Leave a Comment